About Us
সমাজের কল্যাণে ব্যতিক্রমী কিছু করার তাড়না থেকে একদল পেশাজীবীর হাত ধরে এমআরডিআই-এর জন্ম, যাদের চোখে ছিল দূর গন্তব্যে পৌঁছানোর স্বপ্ন। ২০০১ সালের মে মাসে যাত্রা শুরু করা এমআরডিআই বর্তমানে দেশের নেতৃস্থানীয় সংবাদমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়েছে, যার লক্ষ্য একটি ন্যায়ভিত্তিক, অবাধ সমাজ গঠন। দেশের জনগণের তথ্য অধিকারের পক্ষে জোরালো ভূমিকার জন্য সুপরিচিত হয়ে ওঠা সংস্থাটি বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
দেশের জনগণের তথ্য অধিকারের পক্ষে জোরালো ভূমিকার জন্য সুপরিচিত হয়ে ওঠা সংস্থাটি বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে নিজের প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম নির্মাণেও কাজ করছে এমআরডিআই। প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলো অর্জনের মাধ্যমে এমআরডিআই এমন একটি সংবাদমাধ্যম ব্যবস্থা তৈরি করতে চায়, যেটি জনগণের ক্ষমতায়ন করবে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের পক্ষ হয়ে জবাবদিহি দাবি করবে। লালিত মূল্যবোধের সাথে সাযুজ্য রেখে এমআরডিআই সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রাখা, সম্পদের সুষম ব্যবহার ও কাজের গুণগত মান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সহযোগী সংস্থা ও অংশীজনদের আস্থা অর্জন করেছে।
বাংলাদেশে একটি মুক্ত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ সংবাদমাধ্যম পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে এমআরডিআই নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম ও জরিপ পরিচালনার পাশাপাশি সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার জন্য সহায়ক বিভিন্ন উপকরণও তৈরি করছে। রিপোর্টার্স হ্যান্ডবুক ও টুলকিট ছাড়াও এমআরডিআই সাংবাদিকদের জন্য উপাত্ত-পরিসংখ্যানের এক সুবিশাল ভাণ্ডার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে, যেন সংবাদ প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় ডেটার সব চাহিদা পূরণ করা যায় একটি জায়গা থেকেই।
এছাড়া নিয়মিতভাবে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও প্ল্যাটফর্মে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ আয়োজন করে আসছে এমআরডিআই। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রসার ও মানোন্নয়নে এমআরডিআই-এর একান্ত প্রচেষ্টার ফলে গভীর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে দেশের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের মাঝে নতুন আগ্রহের সঞ্চার হয়েছে।
আর এর ফলেই সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ক্রমাগত সহায়তার মাধ্যমে একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম ব্যবস্থা তৈরিতে এমআরডিআই-এর কার্যক্রম দেশের গণমাধ্যম পরিসর থেকে উল্লেখযোগ্য সমর্থনও পাচ্ছে। জনগণের তথ্য অধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এমআরডিআই এমন একটি পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, যেখানে নাগরিক ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তারা পরস্পরকে প্রতিপক্ষ না ভেবে সহযোগী হিসেবে কাজ করবেন।
সরকারি সংস্থাসমূহের সাথে কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এমআরডিআই শুধু তথ্যের চাহিদাই বৃদ্ধি করেনি, বরং তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তাদের সক্ষমতাও বৃদ্ধি করেছে। তথ্য মুক্তির অঙ্গীকারের শেকড়ে প্রোথিত ‘স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ’ এর প্রচলন সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এমআরডিআই-এর প্রয়াস ও অবদানের স্বাক্ষর হয়ে থাকবে। সমাজের প্রতিটি স্তরে এমআরডিআই যে মানের স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রত্যাশা করে, নিজ প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরেও ঠিক একই মান অনুসরণ করে। আর এর মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে নিজেদের অঙ্গীকারকে বাস্তবে রূপান্তরিত করে চলেছে সংস্থাটি।
কোম্পানি উইথ লিমিটেড লায়াবিলিটি হিসেবে নিবন্ধিত এমআরডিআই বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে একঝাঁক পেশাদার কর্মীর মাধ্যমে, একটি পরিচালনা পর্ষদের তত্ত্বাবধানে।